মানুষের বিভিন্নমুখী বিকাশ সাধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। নাগরিক জীবনে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের জন্য সাম্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ১। সামাজিক সাম্য, ২। রাজনৈতিক সাম্য, ৩ । অর্থনৈতিক সাম্য, ৪ । আইনগত সাম্য, ৫। স্বাভাবিক সাম্য ও ৬। ব্যক্তিগত সাম্য ।
১. সামাজিক সাম্য : জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে সমাজের সকল সদস্যের সমানভাবে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাকে সামাজিক সাম্য বলে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণিকে কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না ।
২. রাজনৈতিক সাম্য : রাষ্ট্রীয় কাজে সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ-সুবিধা থাকাকে রাজনৈতিক সাম্য বলে । নাগরিকরা রাজনৈতিক সাম্যের কারণে মতামত প্রকাশ, নির্বাচিত হওয়া এবং ভোট দেওয়ার অধিকার ভোগ করে ।
৩. অর্থনৈতিক সাম্য : যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগকে অর্থনৈতিক সাম্য বলে । বেকারত্ব থেকে মুক্তি, বৈধ পেশা গ্রহণ ইত্যাদি অর্থনৈতিক সাম্যের অন্তর্ভুক্ত।
৪. আইনগত সাম্য : জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আইনের দৃষ্টিতে সমান মনে করা এবং বিনা অপরাধে গ্রেফতার ও বিনা বিচারে আটক না করার ব্যবস্থাকে আইনগত সাম্য বলে ।
৫. স্বাভাবিক সাম্য : এর অর্থ জন্মগতভাবে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীন এবং সমান। কিন্তু বাস্তবে জন্মগতভাবে প্রত্যেক মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সমান হতে পারে না। এ জন্য বর্তমানে স্বাভাবিক সাম্যের ধারণা প্রায় অচল ।
৬. ব্যক্তিগত সাম্য : জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বংশ ও মর্যাদা ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষে মানুষে কোনো ব্যবধান না করাকে ব্যক্তিগত সাম্য বলে ।
Read more